আরবি শব্দমূল থেকে কুরআনের শব্দ শিখি

 


আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে আরবি প্রধানত ৩-বর্ণের মূল ভিত্তিক (trilateral root system) ভাষা অর্থাৎ এর বেশিরভাগ শব্দই তৈরি হয়েছে ৩-বর্ণের শব্দমূল থেকে । যদিও অন্যান্য ভাষায়ও মূল ভিত্তিক এই নিয়ম আছে কিন্তু আরবি ভাষার মত এত সুশৃঙ্খল, সঙ্গতিপূর্ণ (consistent) নয় । আরবিতে একই মূল থেকে আগত সকল শব্দের অর্থ এতই সঙ্গতিপূর্ণ যা অন্য ভাষায় বিরল । তাই আরবি যেকোন বড় শব্দকে ভেঙ্গে এর শব্দমূলকে চিনতে পারলে ঐ শব্দের অর্থ আন্দাজ করা খুব সহজ । কুরআনিক শব্দভান্ডার বাড়ানোর একটা সহজ কৌশল হলো এই শব্দমূলগুলোর অর্থ জেনে এথেকে আগত শব্দগুলোর অর্থ মনে রাখা । এই অধ্যায়ে আমরা আল-কুরআনের ১৫টি বহুল ব্যবহৃত শব্দমূলের (root letters) অর্থ এবং এ থেকে আগত কুরআনের শব্দ গুলো জানার চেষ্ঠা করবো ইনশা-আল্লাহ ।

১। ‘ক্বফ-ওয়াও-লাম

এই মূল থেকে আগত ৬টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ১৭২২ বার ব্যবহার হয়েছে । তন্মদ্ধে এর অতীত কালের ক্রিয়া রূপ قَالَক্ব-লা’ (বলেছিল/বলল) শব্দটিই এসেছে ১৬১৮ বার । এই মূল থেকে আগত শব্দগুলোর সাথে আমরা আগেই পরিচিত হয়েছিলাম অধ্যায় ৪ এ ।

২। ‘কাফ-ওয়াও-নুন

এই মূল থেকে আগত ৩টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ১৩৯০ বার ব্যবহার হয়েছে । তন্মদ্ধে এর অতীত কালের ক্রিয়া রূপ كَانَকা-না’ (ছিল/হয়েছিল/হলো) শব্দটিই এসেছে ১৩৫৮ বার ।

৩। ‘হামযা-মীম-নুন

এই মূল থেকে আগত ১৭টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ৮৭৯ বার ব্যবহার হয়েছে । এই শব্দগুলোর বেশির ভাগের সাথেই আমরা আগে পরিচিত । যেমন, ঈমান, মু’মিন, আমানত, আমীন; যেগুলো আমরা অধ্যায় ৫ এ দেখেছিলাম ।

৪। ‘আ’ইন-লাম-মীম

এই মূল থেকে আগত ১৪টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ৮৫৪ বার ব্যবহার হয়েছে । এই শব্দগুলোরও বেশির ভাগের সাথেই আমরা পরিচিত । যেমন, আলিম, আল্লামা, আ’লামীন, মা’লুম, ইল্‌ম । এই মূল থেকে আগত শব্দগুলোর সাথে আমরা অধ্যায় ৪ এ পরিচিত হয়েছিলাম ।

৫। ‘হামযা-তা-ইয়া

এই মূল থেকে আগত ৬টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৫৪৯ বার ব্যবহার হয়েছে । তবে, এর মধ্যে ২টি ক্রিয়া-বাচক শব্দই কুরআনে ব্যবহার হয়েছে মোট ৫৩৫ বার । কুরআনের বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্যে এই শব্দ দুটি খুবই কনফিউজিং । একটু সচেতন ভাবে লক্ষ্য না করলে শব্দ দুটি আলাদা করা বেশ কঠিন । তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুটি শব্দের সাথে আমরা অনেক পরিচিত । যেমন কুরআন থেকে আমরা দোআ বলি, ‘এই মূল থেকে আগত ৬টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৫৪৯ বার ব্যবহার হয়েছে । তবে, এর মধ্যে ২টি ক্রিয়া-বাচক শব্দই কুরআনে ব্যবহার হয়েছে মোট ৫৩৫ বার । কুরআনের বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্যে এই শব্দ দুটি খুবই কনফিউজিং । একটু সচেতন ভাবে লক্ষ্য না করলে শব্দ দুটি আলাদা করা বেশ কঠিন । তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুটি শব্দের সাথে আমরা অনেক পরিচিত । যেমন কুরআন থেকে আমরা দোআ বলি, ‘রব্বানা এই মূল থেকে আগত ৬টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৫৪৯ বার ব্যবহার হয়েছে । তবে, এর মধ্যে ২টি ক্রিয়া-বাচক শব্দই কুরআনে ব্যবহার হয়েছে মোট ৫৩৫ বার । কুরআনের বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্যে এই শব্দ দুটি খুবই কনফিউজিং । একটু সচেতন ভাবে লক্ষ্য না করলে শব্দ দুটি আলাদা করা বেশ কঠিন । তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুটি শব্দের সাথে আমরা অনেক পরিচিত । যেমন কুরআন থেকে আমরা দোআ বলি, ‘রব্বানা আ-তিনা- ফিদ্দুনিয়া হা’সানাতাও …’ (হে আমাদের রব আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ না- ফিদ্দুনিয়া হা’সানাতাও …’ (হে আমাদের রব আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দান করুন…) [২:২০১] কিংবা ‘…) [২:২০১] কিংবা ‘রব্বানা …) [২:২০১] কিংবা ‘রব্বানা আ-তিনা- মিল্‌লাদুন্‌কা রহমাতা…’ (হে আমাদের রব, আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত না- মিল্‌লাদুন্‌কা রহমাতা…’ (হে আমাদের রব, আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন…) [১৮:১০] । আরেকটি আয়াতের সাথেও আমরা বেশ পরিচিত ‘…) [১৮:১০] । আরেকটি আয়াতের সাথেও আমরা বেশ পরিচিত ‘আক্বিমুস্‌ সালাতা ওয়া …) [১৮:১০] । আরেকটি আয়াতের সাথেও আমরা বেশ পরিচিত ‘আক্বিমুস্‌ সালাতা ওয়া আ-তুয্‌ যাকাতা…’ (তোমরা সালাত প্রতিষ্ঠা করো এবং যাকাত য্‌ যাকাতা…’ (তোমরা সালাত প্রতিষ্ঠা করো এবং যাকাত প্রদান করো …) [২:৪৩] । এই ‘ …) [২:৪৩] । এই ‘আ-তি / আ-তা / আ-তু’ (দেয়া, দান করা) শব্দটি এ মূল থেকে এসেছে । এই মূল থেকে আরেকটি প্রধান যে শব্দ পাই তা হলো ‘’ (দেয়া, দান করা) শব্দটি এ মূল থেকে এসেছে । এই মূল থেকে আরেকটি প্রধান যে শব্দ পাই তা হলো ‘’ (দেয়া, দান করা) শব্দটি এ মূল থেকে এসেছে । এই মূল থেকে আরেকটি প্রধান যে শব্দ পাই তা হলো ‘আতা- ’ (আসা, পৌছা, আনা) । যেমন, ‘’ (আসা, পৌছা, আনা) । যেমন, ‘হাল আতা-কা হা’দিসুল গশিয়া ’ (ক্বিয়ামতের সংবাদ কি তোমার কাছে কা হা’দিসুল গশিয়া ’ (ক্বিয়ামতের সংবাদ কি তোমার কাছে এসেছে?) [৮৮:১] । শব্দদুটির উচ্চারণে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে প্রথম শব্দে ‘হামযা’ কে মদ (লম্বা করা বা টেনে পড়া) করতে হয় আর, পরের শব্দে ‘তা’ কে মদ করতে হয় । কুরআন পড়ার সময় সচেতন ভাবে লক্ষ্য করলে এই পার্থক্যটা সহজে ধরতে পারবো ইংশা- আল্লাহ্‌ ।

৬। ‘কাফ-ফা-র

এই মূল থেকে আগত ১৪টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ৫২৫ বার ব্যবহার হয়েছে । এই শব্দগুলোর মধ্যেও বেশির ভাগের সাথে আমরা পরিচিত । যেগুলো আমরা অধ্যায় ৫ এ দেখেছিলাম, যেমন, কাফির (অবিশ্বাসী), কুফর ইত্যাদি ।

৭। ‘শীন-ইয়া-হামযা

এই মূল থেকে আগত ২টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৫১৯ বার ব্যবহার হয়েছে । মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুটি শব্দের সাথে আমরা অনেক পরিচিত । সচেতন ভাবে কখনও কি সেটা খেয়াল করেছি? যেমন, কোন কিছুর প্রশংসা করতে আমরা বলি ‘মাএই মূল থেকে আগত ২টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৫১৯ বার ব্যবহার হয়েছে । মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুটি শব্দের সাথে আমরা অনেক পরিচিত । সচেতন ভাবে কখনও কি সেটা খেয়াল করেছি? যেমন, কোন কিছুর প্রশংসা করতে আমরা বলি ‘মাশা-আল্লাহ্‌’ (আল্লাহ্‌ যা আল্লাহ্‌’ (আল্লাহ্‌ যা চান) [৮৭:৭], কিংবা ভবিষ্যতের কোন কিছু বলতে আমরা বলি ‘ইং) [৮৭:৭], কিংবা ভবিষ্যতের কোন কিছু বলতে আমরা বলি ‘ইংশা-আল্লাহ’ (যদি আল্লাহ্‌ আল্লাহ’ (যদি আল্লাহ্‌ চান) [৩৭:১০২] । এই ‘শা-/শা-য়া’ (ইচ্ছা করা, চাওয়া) শব্দটি এ মূল থেকে এসেছে । আরেকটি শব্দ ‘শাইয়িন/শাইয়ুন’ (কিছু, কোনকিছু) আল-কুরআন পড়তে গেলে আমরা প্রায়ই পাই । যেমন, ‘ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি ’ (কিছু, কোনকিছু) আল-কুরআন পড়তে গেলে আমরা প্রায়ই পাই । যেমন, ‘ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’ (এবং তিনি সব ক্বদীর’ (এবং তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান) [৬৭:১], ‘ উপর সর্বশক্তিমান) [৬৭:১], ‘শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস্‌সামা-য়ি...’ (আসমান ও যমীনের ফিল আরদি ওয়ালা ফিস্‌সামা-য়ি...’ (আসমান ও যমীনের কোন কিছুই...) [৩:৫] । এই শব্দ দুটির অর্থ সম্পুর্ন ভিন্ন । এর একটি বিশেষ্য (n ) অন্যটি ক্রিয়া (v) । শব্দ দুটির অর্থ মিলিয়ে আমরা মনে রাখতে পারি এভাবে ‘কোনকিছু চাওয়া’ ।

৮। ‘আ’ইন-মীম-লাম

এই মূল থেকে আগত ৪টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ৩৬০ বার ব্যবহার হয়েছে । অধ্যায় ৫ এ আমরা শব্দগুলো দেখেছিলাম, যেমন, আমল করা / কাজ করা, আমলকারী / কর্মী ইত্যাদি ।

৯। ‘জীম-আ’ইন-লাম

এই মূল থেকে আগত ২টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৩৪৬ বার ব্যবহার হয়েছে । যেমন, সূরা মাউন এ আমরা পাই ‘এই মূল থেকে আগত ২টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৩৪৬ বার ব্যবহার হয়েছে । যেমন, সূরা মাউন এ আমরা পাই ‘আলাম ইয়াএই মূল থেকে আগত ২টি শব্দ আল-কুরআনে মোট ৩৪৬ বার ব্যবহার হয়েছে । যেমন, সূরা মাউন এ আমরা পাই ‘আলাম ইয়াজ্‌আ’ল কায়দাহুম ফী তাদ্‌লি-ল’ [১০৫:২] এবং ‘ কায়দাহুম ফী তাদ্‌লি-ল’ [১০৫:২] এবং ‘ফা কায়দাহুম ফী তাদ্‌লি-ল’ [১০৫:২] এবং ‘ফাজাআ’লা হুম কাআ’স্‌ফিম্‌ মা’কূল’ [১০৫:৫] । এই আয়াত দুটির ‘জাআ’লা’ (তৈরি করা, বানানো, পরিণত করা) শব্দটি এই মূল থেকে এসেছে । এই ক্রিয়া-বাচক শব্দটি কুরআনে ৩৪০ বার ব্যবহার হয়েছে । আর, এই ক্রিয়ার কর্তা ‘জা-ই’ল / জা-ই’লুউন’ (গঠনকারী, সৃষ্টিকারী) কুরআনে এসেছে মাত্র ৬ বার ।

১০। ‘র-হামযা-ইয়া

আমরা ‘রিয়া’ (=লোক-দেখানো) শব্দটার সাথে পরিচিত যা এই মূল থেকে এসেছে । এই মূল থেকে মোট ৮টি শব্দ এসেছে যা আল-কুরআনে সর্বমোট ৩২৮ বার ব্যবহার হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আমরা ‘রিয়া’ (=লোক-দেখানো) শব্দটার সাথে পরিচিত যা এই মূল থেকে এসেছে । এই মূল থেকে মোট ৮টি শব্দ এসেছে যা আল-কুরআনে সর্বমোট ৩২৮ বার ব্যবহার হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রআই/রআ ’ (দেখা), যেমন সূরা ফীলের ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘’ (দেখা), যেমন সূরা ফীলের ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘আলাম তা’ (দেখা), যেমন সূরা ফীলের ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘আলাম তারা কাইফা…’ কাইফা…’ (তুমি কি কাইফা…’ (তুমি কি দেখনি কেমন…) [১০৫:১]; কিংবা সূরা মাউন এর ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘ কেমন…) [১০৫:১]; কিংবা সূরা মাউন এর ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘আ কেমন…) [১০৫:১]; কিংবা সূরা মাউন এর ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘আরাআইতাল্লাযি…’ তাল্লাযি…’ (তুমি কি তাল্লাযি…’ (তুমি কি দেখেছ তাকে…) [১০৭:১] ।

১১। ‘হা-দাল-ইয়া

এই মূল থেকে আগত ১২টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ৩১৬ বার ব্যবহার হয়েছে । এই শব্দগুলোর মধ্যেও বেশির ভাগের সাথে আমরা পরিচিত । যেগুলো আমরা অধ্যায় ৫ এ দেখেছিলাম, যেমন, হেদায়েত করা (সঠিক পথ দেখানো), হা-দি (পথ প্রদর্শক) ইত্যাদি । চলুন উদাহরণসহ শব্দগুলো দেখি ।

১২। ‘নুন-যা-লাম

আমরা ‘নাযিল’ (অবতীর্ন হয়) শব্দটার সাথে পরিচিত যা এই মূল থেকে এসেছে । এই মূল থেকে মোট ১২টি শব্দ এসেছে যা আল-কুরআনে সর্বমোট ২৯৩ বার ব্যবহার হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আমরা ‘নাযিল’ (অবতীর্ন হয়) শব্দটার সাথে পরিচিত যা এই মূল থেকে এসেছে । এই মূল থেকে মোট ১২টি শব্দ এসেছে যা আল-কুরআনে সর্বমোট ২৯৩ বার ব্যবহার হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আন্‌যালা ’ (নাযিল করা, নামানো, অবতীর্ন করা, পাঠানো), যেমন সূরা ক্বদরের ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘’ (নাযিল করা, নামানো, অবতীর্ন করা, পাঠানো), যেমন সূরা ক্বদরের ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘ইন্না ’ (নাযিল করা, নামানো, অবতীর্ন করা, পাঠানো), যেমন সূরা ক্বদরের ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘ইন্না আন্‌যালনাহু ফি- লাইলাতুল ক্বদর’ (নিশ্চয়ই আমি এটি নাহু ফি- লাইলাতুল ক্বদর’ (নিশ্চয়ই আমি এটি নাযিল করেছি ক্বদরের রাতে) [৯৭:১] । চলুন উদাহরণসহ অন্যান্য শব্দগুলো দেখি ।

১৩। ‘কাফ-যাল-বা

এই মূল থেকে আগত ৯টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ২৮২ বার ব্যবহার হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এই মূল থেকে আগত ৯টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ২৮২ বার ব্যবহার হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘কায্‌যাবা ’ (অস্বীকার করা, প্রত্যাখ্যান করা, মিথ্যারোপ করা) যেটা কুরআনে ১৭৬ বার এসেছে । যেমন, সূরা মাউন এর ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘’ (অস্বীকার করা, প্রত্যাখ্যান করা, মিথ্যারোপ করা) যেটা কুরআনে ১৭৬ বার এসেছে । যেমন, সূরা মাউন এর ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘আরাআই তাল্লাযি ইউ’ (অস্বীকার করা, প্রত্যাখ্যান করা, মিথ্যারোপ করা) যেটা কুরআনে ১৭৬ বার এসেছে । যেমন, সূরা মাউন এর ১ম আয়াতে আমরা পাই ‘আরাআই তাল্লাযি ইউকায্‌যিবু বিদ্দি-ন ’ বিদ্দি-ন ’ (তুমি কি দেখেছ তাকে, যে বিচারদিবসকে বিদ্দি-ন ’ (তুমি কি দেখেছ তাকে, যে বিচারদিবসকে অস্বীকার করে?) [১০৭:১] । এই মূল থেকে আগত শব্দগুলো উদাহরণসহ নিচে দেয়া হলো ।

১৪। ‘জীম-ইয়া-হামযা

এই মূল থেকে আগত ১টি শব্দই আল-কুরআনে ব্যবহার হয়েছে, যা মোট ২৭৮ বার এসেছে । উদাহরণসহ নিচে দেয়া হলো ।

১৫। ‘খ-লাম-ক্বফ

এই মূল থেকে আগত ৮টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ২৬১ বার ব্যবহার হয়েছে । এই শব্দগুলোর মধ্যেও বেশির ভাগের সাথে আমরা পরিচিত । যেমন, আমরা জানি আল্লাহ্‌র একটি গুণবাচক নাম ‘আল-খা-লিক’ (সৃষ্টিকর্তা) । সূরা ফালাক্বে যেমন আমরা পাই ‘এই মূল থেকে আগত ৮টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ২৬১ বার ব্যবহার হয়েছে । এই শব্দগুলোর মধ্যেও বেশির ভাগের সাথে আমরা পরিচিত । যেমন, আমরা জানি আল্লাহ্‌র একটি গুণবাচক নাম ‘আল-খা-লিক’ (সৃষ্টিকর্তা) । সূরা ফালাক্বে যেমন আমরা পাই ‘মিন শাররিমা এই মূল থেকে আগত ৮টি শব্দ আল-কুরআনে সর্বমোট ২৬১ বার ব্যবহার হয়েছে । এই শব্দগুলোর মধ্যেও বেশির ভাগের সাথে আমরা পরিচিত । যেমন, আমরা জানি আল্লাহ্‌র একটি গুণবাচক নাম ‘আল-খা-লিক’ (সৃষ্টিকর্তা) । সূরা ফালাক্বে যেমন আমরা পাই ‘মিন শাররিমা খলাক্ব ’ ’ (তিনি ’ (তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিস্ট থেকে) [১১৩:২] । চলুন উদাহরণসহ অন্যান্য শব্দগুলো দেখি ।

******************************************************************************

সুচীপত্র [ Book format এ অর্থ বুঝে কোরআন পড়ি ]

PDF download এর জন্য এখানে ক্লিক করুন

আগের অধ্যায় ৭। আরবি ব্যাকরণের সহজ পাঠ

পরের অধ্যায় ৯। কুরআন বোঝার মুগ্ধ অনুভবে

******************************************************************************

আল-কুরআনের সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দগুলোর ছবি/PDF download করতে এখানে ক্লিক করুন

সর্বশেষ পরিমার্জন 29-03-2020

No comments:

Post a Comment