PDF Download (Google Drive থেকে)
PDF Download (Academia থেকে )
১.১ মাইন্ড ম্যাপ কী?
মানব মস্তিষ্ক
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার এক বিস্ময়কর
সৃষ্টি। মস্তিষ্ক আমাদের চারপাশ থেকে তথ্য নেয়, তা নিয়ে ভাবে, বিশ্লেষণ করে এবং এক তথ্যের সঙ্গে আরেক তথ্যকে যুক্ত করে নতুন কিছু ধারণা তৈরি
করে। তাই আমাদের চিন্তা-ভাবনা কখনো সরলরেখায় চলে না, বরং গাছের শাখা-প্রশাখার মতো ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের মন যেন এক
বড় জালিকার মতো, যেখানে প্রতিটি তথ্য একে
অপরের সাথে যুক্ত। কিন্তু যখন আমরা কিছু শিখতে বা মনে রাখতে চাই, তখন সাধারণত তালিকা আকারে সাজাই, যা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজের ধরণের সাথে মেলে না। এখানেই মাইন্ড ম্যাপ-এর গুরুত্ব। মাইন্ড ম্যাপ আল্লাহ্ প্রদত্ত মানব মস্তিষ্কের
এই চিন্তা-প্রবাহকে একটি চিত্রে রূপ দিতে পারে। সহজভাবে বললে, মাইন্ড ম্যাপ হলো এমন একটি ছবি বা চিত্র, যেখানে কোনো বিষয়কে কেন্দ্র থেকে শুরু করে
শাখা-প্রশাখার মতো সাজানো হয়। এতে তথ্যগুলো আলাদা আলাদা নয়, বরং ছবির মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে।
মাইন্ড ম্যাপে সাধারণত কেন্দ্রে
একটি ছবি থাকে, সেখান থেকে
বিভিন্ন দিক দিয়ে শাখা তৈরি হয় এবং প্রতিটি শাখায় ছবি ব্যবহার করে তথ্য সাজানো হয়।
যেহেতু ছবি আমাদের মনে বেশি সময় ধরে থাকে, তাই মাইন্ড ম্যাপ ব্যবহার করলে সহজে বিষয় মনে রাখা যায়। একবার
চিত্রটি চোখের সামনে এলে একের পর এক তথ্য মনে পড়ে যায়। ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী টনি বুজান ১৯৭০-এর
দশকে মাইন্ড ম্যাপকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো তথ্যকে এমনভাবে সাজানো, যা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক চিন্তার
সাথে মিলে যায়। ফলে বিষয়গুলো বোঝা ও মনে রাখা অনেক সহজ হয়। চিত্র ১-এ একটি
মাইন্ড ম্যাপের উদাহরণ দেয়া হল।
কুরআনের বিষয়বস্তু বা মূল শিক্ষা মনে রাখার জন্যও আমরা মাইন্ড ম্যাপ ব্যবহার করতে পারি।
এতে প্রতিটি সূরার আয়াত ও আয়াতের মূল শিক্ষাগুলো
শাখা-প্রশাখায় সাজানো থাকায় সহজে মনে থাকবে এবং এক আয়াতের সাথে অন্য আয়াতের
সম্পর্ক বুঝতেও সুবিধা হবে, ইনশা-আল্লাহ।
